কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে একই স্কুলের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে।
উপজেলার ২২ নং চাপ্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী শ্রীধাম বালার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। শ্রীধাম উপজেলার চাপ্তা গ্রামের মৃত ভোলানাথ বালার ছেলে।
এ ঘটনায় অভিভাবক, ম্যানেজি কমিটি, শিক্ষক ও স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর মা বিলকিছ বেগম ও ম্যানেজিং কমিটি এবং স্থানীয়রা বাদী হয়ে পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, গত রোববার (১৯ জানুয়ারী) ওই ছাত্রী স্কুলে আসলে স্কুলের দপ্তরী শ্রীধাম বালা কৌশলে তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। বিষয়টি ওই ছাত্রী স্কুলের এক সহকারী শিক্ষিকাকে জানায়। তিনি বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানালে প্রধান শিক্ষক তাৎক্ষণিক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি অবগত করেন। পরে ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে তার অভিভাবকদের জানায়।
প্রধান শিক্ষক সাব্বির হোসেন বলেন, ‘আমি ছাত্রীর কাছ থেকে ঘটনাটি মৌখিকভাবে শুনে লিখিতভাবে বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। সে এর আগেও একাধিকবার ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে।’
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো কামরুজ্জামান মিনা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘দপ্তরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শিক্ষা অফিসারকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হোক।’
এ ব্যাপারে শ্রীধাম বালার সাথে কথা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘অসাবধানতাবশত হাত লাগতে পারে। তবে আমি ইচ্ছাকৃতভাবে হাত দেয়নি। কিছু লোক আমার সাথে শত্রুতা করে এ ধরণের মিথ্যা অভিযোগ করছে।’
কাশিয়ানী উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুর রহমান অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে গিয়েছিলাম। অভিযুক্ত দপ্তরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।